Nopal বা Prickly Pear Cactus আমে‌রিকান ক্যাকটাস জাতীয় উ‌দ্ভিদ বি‌শেষ। এর নজর কাড়া মে‌জেন্টা রং এর ফল অতুলনীয় স্বাদ ও গ‌ন্ধের জন্য বিশ্বব্যাপী সুপ্র‌সিদ্ধ ও সমাদৃত। এ‌তে র‌য়ে‌ছে স‌তেজ কারক এবং অবসাদ দূরীকরণ গুনাগুন। বি‌শ্বের বি‌ভিন্ন অঞ্চ‌লে এ‌টি জন‌প্রিয় প্রিক‌লী পেয়ার শরবত, সিরাপ অথবা জেলী তৈরী‌তে ব্যবহৃত হয়।

ক‌চি ও নরম প্রিক‌লী পেয়ার কান্ড ভারতব‌র্ষে বাংলায় ‘ফ‌ণিমনসা’ ও হি‌ন্দি‌তে ‘নাগফনী’ না‌মে প‌রি‌চিত। এগু‌লো যেমন খাবার উপ‌যোগী তেম‌নি সুস্বাদুও ব‌টে। এতে র‌য়ে‌ছে উচ্চ মাত্রায় ভিটা‌মিন এ, ভিটা‌মিন সি এবং ক্যাল‌সিয়াম। এই স্বল্প-কার্বহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য‌টি র‌ক্তে শর্করার মাত্রা (Blood Suger Level) হ্রা‌সে সাহায্য ক‌রতে সক্ষম। এ কার‌নে এ‌টি‌কে ডায়া‌বে‌টিস রোগী‌দের খাদ্য হি‌সে‌বে সুপা‌রিস করা হ‌য়ে থা‌কে।

আশ্চ‌র্যের বিষয় হ‌লেও সত্য যে, চি‌কিৎসক, গ‌বেষক ও খাদ্য বিজ্ঞানীগন কেবল সাম্প্র‌তিক বছরগু‌লো‌তে নোপা‌লের রাসায়‌নিক গঠন‌বিন্যাস (Chemical Composition) ও পু‌ষ্টিমান (Nutrition Values) সম্প‌র্কে বৈজ্ঞা‌নিক গ‌বেষণা ও বিবরণী পেশ কর‌তে শুরু ক‌রে‌ছেন। সমস্ত গ‌বেষণা ফলাফ‌লের ভি‌ত্তি‌তে বি‌শেষজ্ঞরা এই পরামর্শ দিয়ে‌ছেন যে, নোপা‌লে র‌য়ে‌ছে বহু‌বিধ “ফাই‌টো‌কে‌মিক্যাল” (Phytochemicals)। আর স্বাস্থ্য ও পু‌ষ্টি বি‌শেষজ্ঞ‌দের ম‌তে “ফাই‌টো‌কে‌মিক্যাল” মানব দে‌হকে স্বয়ং‌ক্রিয়ভা‌বে সুস্থ রাখ‌তে সহায়তা ক‌রে। স্বা‌স্থ্যের স‌ঠিক অবস্থা নিয়ন্ত্রন করতে এবং সুস্থতা বজায় রাখ‌তে এ‌টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূ‌মিকা পালন ক‌রে। এছাড়াও জ‌টিল ধর‌নের স্বাস্থগত সমস্যা যেমন- ডায়া‌বে‌টিস, হৃদয‌ন্ত্রের ব্যা‌ধি ও ক্যান্সার প্র‌তি‌রোধ কর‌তে এ‌টি সক্ষম।

‌নোপাল ক্যাকটাস এ বিদ্যমান ৭ টি স‌ক্রিয় পু‌ষ্টি উপাদান নিম্নরুপ:
১) এ‌মি‌নো এ‌সিড ১৮ ধর‌নের,
২) ফাই‌টো‌নিউ‌ট্রি‌য়েন্টস ১৫ ধর‌নের,
৩) মিনা‌রেল ১০ ধর‌নের,
৪) ভিটা‌মিন ৮ ধর‌নের,
৫) ফাইবার,
৬) বিটা‌লেইন ও
৭) পেক‌টিন

এখন আপনার দে‌হে যত ধর‌নের রোগই হোক না কেন তা এই ৭ টা পু‌ষ্টি উপাদা‌নের অভা‌বেই হয়। সুতরাং নোপাল ক্যাকটাস থে‌কে উৎপা‌দিত খাবার NATUERA “Fruit & Pads” Freeze Dried Powder সেবন করে রোগ শোক মুক্ত থাকুন।

১. গ্যাসট্রিক, আলসার, নিরাময়ে এটি অত্যন্ত কার্যকর।
২. বাত, গিরার ব্যথা, পেশীর যন্ত্রনা উপশম করে।
৩. পুরুষ ও মহিলা যোন সক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৪. ডায়বেটিস রোগী শারীরিক ভাল হয়।
৫. হাড় ক্ষয়ে যািয়া ভাল করে।
৬. মেয়েদের সাদাস্রাব ভাল হয়।
৭. ব্যাথাযুক্ত ঋতুস্রাব ভাল হয়।
৮. কোষ্ঠকাঠিন্য ভাল হয়।
৯. অর্শ রোগের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
১০. অলসতা দূর করে।
১১. রক্তে শর্করা পরিমাণ হ্রাস করে,স্বাভাবিক স্তরে নিয়ে আসে।
১২. কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারিড হ্রাস করে।
১৩. মূত্রক্রিয়ার উন্নয়ন করে।
১৪. অন্ত্র,পাকস্থলীর ক্রিয়ার উনয়ন করে।
১৫. ওজন বৃদ্ধির প্রবণতা হ্রাস করে।
১৬. টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের ইনসুলিন গ্রহণ পর্যায় ক্রমে হ্রাস করতে সাহায্য করে।
১৭. শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে।
১৮. সুস্থ তা, কর্মক্ষমতা অনুভূতি বাড়ায়
১৯. রক্ত বৃদ্ধি করে,উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করে।
২০. অপেক্ষাকৃত বয়স্ক নারীদের মাসিক ক্রিয়া স্বাভাবিক করে।
২১. পাকস্থলীর অতিরিক্ত এ্যাসিড হ্রাস করে।
২২. বয়সজনিত ত্বকের দাগ কমায়।
২৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষ মতার উন্ময়ন করে।
২৪. সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ সাহায্য করে।
২৫. ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২৬. পেঠফাঁপা, পাকস্থলীর সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
২৭. রক্তনালী শক্ত হওয়া,হদপিন্ডের সুক্ষ্ণ রক্তনালীর নিস্ত্রিয়তা জনিত হৃদরোগসমূহ প্রতিরোধ সাহায্য করে।
২৮. বয়সজনিত হাঁড়ের সমস্যা যেমন হাঁড়ক্ষয় ও কমজোড় হওয়া হ্রাস করে।
২৯. অকাল বার্ধক্যের উপসর্গ হ্রাস করে।
৩০. দৃষ্টিশক্তি উন্নয়ন উপকারী,পেশীয় অবক্ষয়ের ঝুঁকি হ্রাস করে।
৩১. ব্লাড ক্যান্সার,হিমোগ্লোবিন, থ্যালাসেমিয়া,রক্তসংক্রান্ত যে কোন সমস্যা দূর করে।
৩২. ঋাইরাস সংক্রমণ প্রতিহত করে।
৩৩. প্লাজমা ইনসুলিন বৃদ্ধি করে।
৩৪. যকৃতের কোলেস্টেরল বিপাকে পরিবর্তন করে।
৩৫. B – Glucuronidase নিঃস্বরণ করে।
৩৬. কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস করে।
৩৭. কোষের সুরক্ষা বৃদ্ধি করে।
৩৮. জিনগত DNA স্থিতিশীল করে।

সেবন বিধি :
১/ সকালে ২ টি ক্যাপসুল, রাতে ২ টি ক্যাপসুল খালি পেটে সেবন করতে হবে।( খাবার ঝাওয়ার আধা ঘন্টা আগে খেতে হবে। ক্যাপসুল খািয়ার ন্যুনতম আধা ঘন্টা পরে আধা লিটার পানি খেতে হবে।
২/ যাদের লিভার ও কিডনীতে বেশি সমস্যা তারা সকালে ১টা ও রাতে ১টা করে অবশ্যই খালি পেটে খেতে হবে।
৩/ খালি পেটে ক্যাপসুল খেতে ভুলে গেলে অন্তত খাবার খাওয়ার ৩৮ মিনিট পরে খেতে হবে।

Comment

X